ফোন কেনার পর পরই রিংটোন শোনা হতো। কার রিংটোন কত ভালো তা নিয়েও হতো প্রতিযোগিতা। কিন্তু এখন আর এমন চিত্র দেখা যায় না। রিংটোন শোনা বা এটি নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে কী করে, এখন তো রিংটোনই ব্যবহার করে না অনেকে। বিশেষ করে তরুণরা ফোন সাইলেন্ট করে রাখতে বেশি পছন্দ করে। ( এই তালিকায় অবশ্য আমিও আছি ) 🙂
গবেষণায়ও ওঠে এসেছে এমন তথ্য। ওইসব গবেষণা বলছে, রিংটোনের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে তরুণরা। ফোন সাইলেন্ট রাখাকে ফ্যাশনের একটি অংশ বলেও মনে করে অনেক তরুণ।
কয়েকটি গবেষণার তথ্য নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ১৬-২৪ বছর বয়সী বেশিরভাগ স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারী রিংটোন ব্যবহার করছে না। তারা কলিংয়ের পরিবর্তে মেসেজিং অ্যাপগুলো ব্যবহার করছে এবং ফোন সাইলেন্ট রাখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
হঠাৎ হঠাৎ নেটওয়ার্ক পাই না, জানুন সমাধান😲 Neuroitbd
তরুণরা কেন ফোন সাইলেন্ট রাখতে পছন্দ করছে‑ এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, তরুণরা এখন স্মার্ট ফোনেই বেশি সময় কাটায়। ফলে বাড়তি শব্দের প্রয়োজন হয় না। যেকোনোও নোটিফিকেশন, মেসেজ বা কল এলে সঙ্গে সঙ্গেই দেখে নেয় তারা। ফোন সবসময় কাছে থাকে বলেই রিংটোন ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।
এছাড়া বর্তমানে স্মার্ট ওয়াচের মতো ডিভাইসের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষ করে নারীরা এই প্রযুক্তির প্রতি বেশি ঝুঁকেছেন। স্মার্ট ওয়াচ স্মার্ট ফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকে বলে কোনও নোটিফিকেশন এলে কব্জিতেই ভাইব্রেশন বোঝা যায়। এ কারণে রিংটোন ব্যবহার না করলেও চলে।
মোবাইল অ্যাপ বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সেন্সর টাওয়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে রিংটোনবিষয়ক অ্যাপ ডাউনলোড করার হার ৪ বছরে ২০ শতাংশ কমেছে। ২০১৬ সালে রিংটোন বিষয়ক অ্যাপ ডাউনলোড করা হতো ৪৬ লাখ, যা ২০২০ সালে কমে ৩৭ লাখে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে রিংটোন বিষয়ক অ্যাপ ডাউনলোডের হার আরও কমতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ছোট বেলাই ফোন কিনে আমি সারাদিন এই নিয়ে ব্যস্ত যে কোন রিংটোন দিবো ! কিন্তু এখন টা আর প্রয়োজন পরে না ,কারণ বেশির ভাগ সময়ই ফোন হাতেই চালু অবস্থাই থাকে । আমি মনে করি এটাই এর মূল কারণ।
আপনি যদি ফোন সাইলেন্ট রাখেন তাহলে তার বিস্তারিত কারণ কমেন্টে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না ।
0 Comments